শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, তদন্তের আগে বোঝা যাবে না তাদেরকে কে উসকানি দিচ্ছে। আন্দোলনে উসকানিদাতা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা করছে তা না বুঝেই করছে।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার জাতীয় শিল্পকলায় ‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তজার্তিক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় জানান, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কারা উস্কানিদাতা এবং কারা ইন্ধনদাতা তা তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারা উসকানি দিয়েছে এবং কারা দায়ী সবগুলো বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে। যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত হবে। তদন্তের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। তদন্তের আগে আমি কিছু বলতে পারছি না।
শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য। সে ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা কি হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা করতে পারে। মামলা তদন্তের পর যদি ম্যারিট না থাকে তবে অটোমেটিক বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা কিংবা ২৪ দিনের কোনো প্রশ্ন আসে না। যদি মামলার ম্যারিট থাকে তাহলে তদন্ত শেষে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আজও শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমেছেন। শিক্ষার্থীরা কেন কথা শুনছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) যা করছে মনে হয় না বুঝে করছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগামী ৮ আগস্ট শুনানি হবে। শুনানিতে তাদেরও (শিক্ষার্থীদের) অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তারা সেগুলো না করে রাস্তা অবরোধ করছে।
এগুলো সবকিছু এখন বিচার বিভাগের কাছে। হাতে কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান।